Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভাষা ও সংস্কৃতি

ভাষা

ভাগীরথী এবং মধুমতীর মধ্যবর্তী অঞ্চল হওয়ায় নদীয়া শান্তিপুর অঞ্চলের ভাষার সাথে নড়াইল সদর উপজেলার ভাষার কিছুটা মিল আছে। খুলনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ভাষার সাথে এই উপজেলার ভাষার বেশ মিল রয়েছে। ভৌগলিক কারণে প্রতি ১৫/২০কিলোমিটার দূরত্বের ব্যবধানে ভাষা ব্যবহার ও উচ্চারণে যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। প্রমিত চলিত ভাষার সাথে নড়াইল সদর উপজেলার আঞ্চলিক ভাষার কিছু পার্থক্য নিচের সারণীতে তুলে ধরা হলোঃ

প্রমিত চলিত ভাষায় উচ্চারণ

নড়াইল সদরের আঞ্চলিক উচ্চারণ

ক্রম

প্রমিত চলিত ভাষায় উচ্চারণ

নড়াইল সদরের আঞ্চলিক উচ্চারণ

করেছি

করিছি

০১

ভালো আছিস?

ভালো আছির?

খেয়েছি

খাইছি

০২

ভাত

বাত

দিয়েছি

দিছি

০৩

ভিক্ষা

বিক্কে

রেখেছি

রাখিছি

০৪

পথ

ফত

গিয়েছি

গেছি/গিছি

০৫

টাকা

টাহা

দেখেছি

দেখিছি

০৬

কোনটা

কোনডা

বলেছি

কোইছি

০৭

ভাইটি

ভাডি

বলিসনি

কোইসনেই/ কোলিনে

০৮

বোন/ বোনটি

বুনডি

দ্যাখেন/ দেখেন

দ্যহেন/ দ্যহে/ দেহে

০৯

এবার

ইবারা/এবারা

দেখছি না

দেকতিছি না

১০

কথা

কতা

এখন

এ্যহোন

১১

কোন্ জায়গা

কোন্ জাগা/ কুহানে

যেতে

যাতি

১২

দুপুর

দুফোর

পারবো না

পারবোনানে

১৩

বুঝতে

বুজতি

পারবে না

পাইরে দেবেনানে

১৪

পারছিস না

পারতিছিস না

পারছি না

পাইরে দেবোনানে

১৫

খুব ভালো করেনি

ম্যালা ভালো করিনেই

খেলতে যাবি না?

খেলতি যাবি?

১৬

গোছল (স্নান)

নাওয়া

সকাল

বিয়ান

১৭

গোছলে যাই

নাতি যাই

শাশুড়ি

শাউড়ি

১৮

ছোট শিশু

ন্যাদা/ গ্যাদা

গোছল করব না

নাবোনানে/ নাবোনানি

১৯

খাবো না

খাবোনানো

করব না

করবোনানে

২০

দোবো

দিবানি

দেখিস

দেহিসক্যনে

২১

পারবি না/ পারবে না

পারবিনানে

আয়

আইগো

২২

চৈত্র মাস

চৈত মাস

বৈশাখ

বৈশেক

২৩

রোদ/ রোদ্দুর

রৌদ

হবে না

য়োবিনানে

২৪

করে দিয়েছে

কৌরেদেছে

করে দেবে

কৌরে দিবেনে

২৫

করে দেবে না

কৌরে দিবিনানে

হ্যা

হয়

২৬

মেয়ে

ছেমড়ি

 

 

২৭

ছেলে

ছ্যামড়া

সাহিত্য-সংস্কৃতি

কোন এলাকার সংস্কৃতির মাঝে ঐ এলাকার ব্যক্তি-পরিবার-গোত্র-সমাজ তথা জাতির চরিত্র ফুটে ওঠে। সেজন্যই সংস্কৃতি হলো জাতির দর্পন।  নড়াইল সদর উপজেলা সাংস্কৃতিক ভাবে সমৃদ্ধ। এই উপজেলার মানুষ সাধারণভাবে অসাম্প্রদায়িক, শান্তিপ্রিয় এবং অতিথি পরায়ন।  প্রাচীনকাল হতে খেলাধুলা-সাহিত্য-গীত-চিত্রকলা ইত্যাদি চর্চার জন্য এই উপজেলা সুবিদিত। বিশ্ববিখ্যাত চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান এই উপজেলা সন্তান। অভিনয়ের ক্ষেত্রে সন্ধারায় এ উপজেলার মানুষ, সুচিত্রা সেন আশৈশব বেড়ে ওঠেছেন এখানে। সুরকার ও কন্ঠশিল্পী কমল দাস গুপ্ত এ জেলার মানুষ। সংগীতে বিশেষ করে কবি গানের নমন্য পুরুষ বিজয় কৃষ্ণ অধিকারী বা বিজয় সরকার এবং জারী সম্রাট চারণ কবি মোসলেম উদ্দিন এ জেলার মানুষ। প্রচীন কবি ও সাহিত্যিক গুরুনাথ সেনের বাড়ী এখানে।

নড়াইল সদর উপজেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নাটক-যাত্রা-নৃত্য-সঙ্গীত-আবৃত্তি আয়োজিত হয়। উল্লেখযোগ্য লোকজ উৎসবের মধ্যে রয়েছে মেলা-পার্বণ-জারি গান-নৌকা বাইচ-ষাড়ের লড়াই ইত্যাদি। ক্রিড়ার মধ্যে রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, টেবিল টেনিস, লন টেনিস, হ্যান্ড বল, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলা।

নড়াইর সদর উপজেলার উল্লেখযোগ্য লোকজ উৎসব

   

ক্র.নং

উ্ৎসব/ আয়োজন

০১

নৌকা বাইচ

০২

ষাড়ের লড়াই

০৩

ঘোড়ার গাড়ি দৌড়

০৪

সুলতান মেলা

০৫

মোমবাতি প্রজ্বালন

০৬

মুলিয়ার মেলা

০৭

হিজলডাঙ্গার রথযাত্রা

০৮

মুকুল মেলা